Thursday, 21 February 2019

বাংলাটাই ঠিক আসে…






বেশ কদিন আগের কথা, ভরদুপুরে ঘেমে নেয়ে বাসে করে অফিস যাচ্ছি। আর কলকাতার বাস নিয়ে, মূলত অফিসের সময়ের বাস নিয়ে যত কম বলা হয় ঠিক ততটাই ভালো। উপায় যখন নেই তখন আর কি বা করা যাবে, অভিযোগের কোন মানেও হয় না, এভাবেই আমরা অভ্যস্ত। বাসটা পার্কসার্কাস থেকে ঘুরে চার নম্বর ব্রীজের নীচে যেই না গোঁত খেলো, অমনি পিল পিল করে কোথা থেকে যে এতো লোক এলো সেটা বুঝতে বুঝতেই আমি অলরেডি দুটো কনুইয়ের মাঝে প্যানকেক। স্যান্ডুইচ হয়তো আশা করেছিলেন কিন্তু আসলে বলি স্যান্ডুইচে মালপত্র ভরে সেটাকে গ্রীল করা হয়, এখানে দুই কনুইয়ের মাঝে মালপত্র পড়ে গরমে গ্রীল হচ্ছে বটে কিন্তু সাথে অকুল ধারায় ঘাম মিশে ব্যাপারটা একদম ভাজা ভাজা হয়ে যাচ্ছে, তাই প্যানকেক বললে আসল ব্যাপারটা অনুধাবন করা যাবে। সে যাই হোক, আমি তখন বর্ডারের সানি দেওলের মতো একটা খন্ডযুদ্ধ জিতে একটু মুখ বাড়িয়ে উঁকি ঝুকি মারতে গিয়ে দেখলাম চোখে চশমা এঁটে, সাদা একটা টি শার্ট পরে এক ছোকরা বাসে উঠেছে। প্রবল ভিড়ের চাপে গেটের থেকে ভেতরে আসতে না পেরে অসহায়ের মতো চেয়ে আছে এদিক ওদিক। বাস ছুটছে বাইপাস দিয়ে।

Monday, 18 February 2019

গুড় রুটি



- ভালোবাসাটা বড় নাটুকে না স্যার?
- নাটুকে...!! কেন বল তো?
- বলুন না।
- ভালোবাসা তো একটা অভিব্যক্তি। সেটা যার কাছে যেমন। নাটক করতে চাইলে নাটক।
- সেই, যা বলেছেন।
- কেন হঠাৎ কি হলো?

Sunday, 17 February 2019

অনভিপ্রায়



তোমার চোখে দেখবো না আর আমি
শ্রাবণ যেথায় আদরগুলো জমায়,
ভাঙণ আমার শুরু সেখান থেকেই
রোদচশমায় তোমায় দারুন মানায়।

Thursday, 14 February 2019

গোলাপ




‘এই মেয়েটা,
গামলা ভরা লাল গোলাপের দাম কত রে?’
‘কিনবে নাকি? কমে দেবো, সমান জলের দরে।’
‘সে না হয় দেখবো ভেবে, দাম-দস্তুর করে।’
‘তুমি তো আমার দাদার মতো, চাইবো নাকো বেশি,
ষাটের কোটায় দর বেঁধেছি, তুমি দিও পঞ্চাশ করে।’

আসবি কাছে




যদি বলি তোর শরীর ছোঁব, আসবি কাছে?
মানে এতটাই কাছে
যেখান থেকে আলাদা করা যায় না আর;
অনুভূতিগুলো একের পিঠে এক চেপে
নানা ভাবে বাঁক নিয়ে চলে নিজের খেয়ালে;
ঠিক এতোটাই কাছে
যেখান থেকে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস গুলো নিজেদের মধ্যে কোলাকুলি করে,
ভালোবাসায় আটকে পড়ে ভাবগুলো;
আসবি এতোটা কাছে?

ইতি ভ্যালেন্টাইন



তোমার ঠোঁটে মুক্তি খুঁজি আমি,
হার মেনে যায় রাজার একুশ আইন;
নিঃশ্বাসটুকুর উপস্থিতির মাঝে
সাক্ষী থাক ইতি ভ্যালেন্টাইন।

Wednesday, 13 February 2019

Oh Valentine...




I'm looking for freedom in your lips,
Where rules are not bound by limits;
In the midst of the breathless presence
Now let me be your valentine.

Tuesday, 5 February 2019

বইমেলা আর ঈশিতা




       লালমুখোদের তাবেদারি করে আর কতো দিন যে ভারতবর্ষ খাবে কে জানে এই বদলে ওই করে দাও, “ডেডলাইন মিস করলে কেন?”, “আর কতো সময় চাই”, “অ্যাম আই অডিবেল?”, “ক্যান ইউ সি মাই স্ক্রিন?” আরো হাজারো প্রশ্নের জ্বালায় জীবনটা পুরো মিয়ানো মুড়ি হয়ে গেলো ইচ্ছা করে মাঝে মাঝে, সোজা গিয়ে মুখে নুড়ো জ্বেলে দি, কিন্তু কি আর করবো, মাসের শেষে মনটা ভরে যায় একটা দিনের জন্যে হলেও যদিও পিছন পিছন এই ই.এম.আই, ক্রেডিট কার্ড সব লাইন দিয়ে দিয়েছে তবুও ওই আর কি আমি একজন হতভাগ্য আইটি কর্মচারী কাজের জন্যে সময় দিতে দিতেই প্রাতঃক্রিয়ার ফুরসত আর পাচ্ছি না বেশ কয়েক মাস ধরে, আর ঈশিতা তো কোন দুরস্ত যা হাল তাতে, পারলে পটিটেও ল্যাপটপ ধরায়


Monday, 4 February 2019

তারপর...





তারপর...
জানি না কি হবে?
সময় আমায় কোথায় হারাবে;
নাকি ব্যাগ ভরা স্বপ্ন গুলো তখনও শ্বাস নেবে
ওই চেনের ফাঁক দিয়ে;
এক মুঠো ইচ্ছা কি তখনও সাথে পথ চলবে?
নাকি হারিয়ে দেবে আমায় ওই অন্ধগলির মাঝে?
আমি জানি না তারপর কি হবে।

রূপকথার জন্য…




রূপকথা দি, অনেক সাহস করে লিখছি,
তবে বিশ্বাস করো লেখার সাহস পেতাম না;
বেদ বলল লিখে দিতে, তাই.....
জানো বেদ খুব ভালো, ভালো গান গায়,
ভালো বাঁশীও বাজায়,
কিন্তু নেশা করে;
আমাকেও ডাকে, আমি যাই না,
যাই না কারণ জানি তুমি পছন্দ করো না।
এও জানি তুমি নয়নতারা ফুল পছন্দ করো,
যখন কলেজে আসো কাঁধে ব্যাগ নিয়ে,
তখন কানের পাশ থেকে উঁকি দেয় নয়নতারা।

ভালোবাসো...




যখন শেষ তোমায় ভালোবেসেছি
তখন মাঝবয়সি তুমি,
এলো চুল আর একটু খানি হাসি;
চশমার নিচে পটলচেরা চোখ
তখন তীব্র মনোহারি;
আমি পথ হারিয়েছি,

আর একটি প্রেমের গল্প



( রেডিও তে )……


                                      “ কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
                                      কালো তারে বলে গাঁ-এর লোক
                                      মেঘলা দিনে দেখেছিলেম
কালো মেয়ের কালো হরিন চোখ।। “

সেই শীতের রাতে




জানুয়ারি মাস,রাত্রি তখন ১.৩০। হসপিটালের ওই ডানদিকের করিডোরটায় তখন হন্তদন্ত ছোটাছুটি। কিছুটা দূরে হলেও রিসেপশান থেকে আর্তনাদের হালকা আওয়াজ ভেসে আসছে। এই পদদলনের আওয়াজ পেয়েই রিসেপশানের অ্যাটেন্ডেন্টটা তন্দ্রা কাটিয়ে চোখ খোলার চেষ্টায় মগ্ন। নার্স,আয়া, ওয়ার্ড-বয়,সিকুরিটি গার্ড মানে মোটামুটি কাছেপিঠে যারা ছিল তারা সবাই জেগে উঠে বসেছে। আওয়াজ পরিস্কার না হলেও কিছুটা আঁচ তারাও করতে পেরেছে। মুখে চোখে বিরক্তির সাথে কিছুটা বিস্ময়ও লেগে আছে। মনে প্রশ্ন একটাই, “কেউ টপকালো না তো?”

স্বপ্নের ফেরিওয়ালি-৩



ভুলেছে আমায় সে,
অনেক দিনের পরেও আসেনি সে ফিরে;
পথের মোড়ের জলছবিটাও আজ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে,
গড়িয়েছে সময়,বাড়িয়েছে বয়েস,
মন শুধু আটকে সেই জানলাখানার পাশে;

স্বপ্নের ফেরিওয়ালি – ২




শেষ বার যখন এসেছিলি তার থেকে গড়িয়েছে অনেকদিন
বেশ অনেক দিনই হল বটে,
তবুও আসা হয়নি আর তোর,
শেষেরবারে চোখে মনে মাখিয়ে যাওয়া রঙগুলো
কেমন যেন ফিকে হয়ে দাঁত দেখায় আমায়,
রংরুটে যায় স্বপ্নের জাহাজ, চুরি ছিনতাই এর রেশে

স্বপ্নের ফেরিওয়ালি



এই রাতের চাদর আমার ছবি আকার ক্যানভাস
পুড়তে পুড়তে দিন আর কিছু রঙ চটা স্মৃতি
সাজিয়েই বানিয়েছি এই সাদা কালো ক্যানভাস।
রঙ নেই বটে,তবে রঙ লাগাতেই নোংরা ঘাটছি
মনের ওই জঙ্গালের মাঝে;

নশ্বর

আমি জানি নশ্বর আমি; একটা একটা দিন ফুরায় আর আমি গুনি; এই বুঝি বাজল সাইরেন; শরীরের কারখানায় যখন ধীরে ধীরে কর্মবিরতি আসতে থাকে হঠাৎ করেই একদিন ...