Monday, 4 February 2019

আর একটি প্রেমের গল্প



( রেডিও তে )……


                                      “ কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
                                      কালো তারে বলে গাঁ-এর লোক
                                      মেঘলা দিনে দেখেছিলেম
কালো মেয়ের কালো হরিন চোখ।। “



ঠাকুরদার আমলের সেই পেল্লাই রেডিও খানা ঝাড়তে ঝাড়তে আপন মনে দু চার লাইন গেয়েই উঠল কলি। ভালো নাম কৃষ্ণকলি। রাবীন্দ্রিক ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ ঠাকুরদা নাম রেখেছিলেন এমন। বাড়ির সবাই ভালোবেসে কলি বলেই ডাকে। গলফ রোডের বুকে এরম বাড়ি খানিক অবাক করেই দেয়। বিলিতি আদপ কায়দায় দক্ষিন কলকাতার ধূসর মরুভূমির মাঝে এই বাড়িটা যেন একটা মরুদ্যানের মতো। আগলে রেখেছে সেই সনাতনী কলকাতার রীতি রেওয়াজ,বিকিয়ে যায়নি শহুরে আদপ কায়দার বাজারে। গেট খুলে বাড়িতে ধুকলেই চোখে পড়ে বড় বড় রবি ঠাকুরের ছবি,সাথে লেখা কিছু গানের লাইন। বেশ একটা রাবীন্দ্রিক আবহে শহরের থেকে নিজেকে আলাদা করে রেখেছে এই বাড়িটা। কলির ঠাকুরদা, মানে  শ্রী মনীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় রবি ঠাকুরের বড় ভক্ত ছিলেন। হাইকোর্টে ওকালতি করাকালীন তারই প্রচেষ্টায় এই বাড়ির স্থাপনা আর ইচ্ছায় এটার পরিবেশনা। ছোট থেকে এরম পরিবেশে থেকেই কলির মনেও যেন কোথাও রবীন্দ্রনাথ ঘাঁটি গেড়েছে।

ছুটির দিন, কাজের চাপও নেই। তাই রেডিও বন্ধ না করেই পাশের পড়ার ঘরে চলে এল কলি। পরীক্ষা দূরে আছে,তবুও সময়ের সৎব্যবহার। বয়স কুড়ির কলি কিন্তু পড়াশোনায় ভীষণ ভালো। গেলো বছরেই তো ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছে সে। এমনিতে কাজেও ভীষণ নিষ্ঠা, খুব ভালোবেসে সব কাজ করে। তা যাক গে যাক, পড়ার টেবিলটা গুছিয়ে সে পড়তে বসলো।

অঘ্রাণ মাস। ঠাণ্ডা না পড়লেও হেমন্তের মৃদু শীতল হাওয়া বেশ শিরশিরানি দেয়। পড়তে বসলেও পড়ায় যে কলির মন নেই সেটা বোঝাই যাচ্ছে। বই এর পাসে একচিলতে কাগজে সে কিরকম জানি ইজিবিজি লিখে চলেছে। আসলে সামনেই কিছু বিয়েবাড়ি আছে, নয় নয় করে তিন-চারটে তো হবেই। তারই হয়ত প্ল্যান প্রোগ্রাম করে চলেছে। আসলে বয়সতো আর তেমন হয়নি,ছেলেমানুষীগুলো এখনও যায়নি। তার মধ্যে আবার একটা বিয়ে তো পাড়ার মেয়ে খুকি দির,এই তো সামনের শুক্রবারে। পাত্র নাকি কোন এক বড়সড় বিলিতি কোম্পানির চাকুরে। মাসের শেষে মোটা অঙ্কই জমা হয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। দেখতেও নাকি সুপুরুষ। কি সাজব,দিদি কিভাবে সাজবে,কখন কি করব এসব কথাই মাথায় ঘুরছে এখন কলির। সামনে উত্তরমুখো জানলা দিয়ে ঠাণ্ডা হাওয়া এসে একের পর এক বই এর পাতা গুলো কে উলটে দিচ্ছে।
ভাবনার সাগরে যখন আর সাঁতরাতে না পেরে ডুবে গেছে সাগরের অতলে, তখনি ধড়াস্‌ করে তার বাস্তবে আগমন,এক কথায় সম্বিত ফিরেছে।

-      একি, হঠাৎ কি করছি আমি এসব পড়াশোনা ছেড়ে? আজ পড়ায় মন বসছে না কেন আমার?

কিছুটা বিস্ময়বোধক চিহ্ন রেখেই কথাটা আওড়ালো কলি। স্বপ্নের ঘোর যে সে পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি সেটা তার চোখ মুখেই পরিস্কার ধরা দিচ্ছে। সামনের দেওয়ালে টাঙ্গানো বড় মাপের ওই রবি ঠাকুরের ছবিটার দিকে চেয়েই যেন কেমন প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিল কলি।  


সুনসান। চুপচাপ। সামনে সেই রবি ঠাকুরের ছবি আর তার দিকে চেয়ে সেই কলি। মাঝে কিছু নিস্তরঙ্গ মুহূর্ত। সময়ও কেটে গেছে,ঠাণ্ডা হাওয়ায় বই এর পাতার খেলাও চলছে,একবার এদিক থেকে ওদিক, আপন মনে পালটাচ্ছে।
                            
                                “ভালোবেসে সখী,নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো
                                                   তোমার মনেরও মন্দিরে…”

এক প্রকার নিস্তব্ধতা কে চিরে গেয়ে উঠলো কলির ফোনটা। ক্ষণিকে নিজেকে সঙ্ঘবদ্ধ করে ফোনটা হাতে তুলে নিল সে। কি একটা অচেনা নাম্বার, +৯১-১৪********* এরম কিছু একটা।

   -ধুর্‌ বাবা…!! এদের কি আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই? সকাল সকাল শুরু করেছে। এই কোম্পানিগুলোর জ্বালায় আর ফোন ব্যবহার করা যাবে না। কাজ নেই,কম্ম নেই, এই গানটা কে আপনার কলারটিউন করতে এই টিপুন, ওই গানটাকে আপনার কলারটিউন করতে ওই টিপুন। বিরক্তিকর।।

বুঝতে একদমই অসুবিধা হয় না যে কলি খুব রেগে গেছে ওই নিস্তব্ধতায় ব্যাঘাত ঘটায়। যাই হক ওই টেবিল ছেড়ে উঠে ওই সামনের জানলাটার কাছে গেলো কলি। সকালের সেই ঠাণ্ডা বাতাস চোখে মুখে লাগতেই এই সাময়িক তিক্ততা মুছে গেল,কিন্তু মনের ভেতরে সেই কেমন একটা খচ্‌খচানি রয়েই গেলো। আনমনা কলি জানলা ছেড়ে এসে আবার পড়ার টেবিলে বসলো। দু চার লাইন পড়ার পরেই কেমন যেন আকস্মিক টানে তার হাত চলে গেলো পাশে পড়ে থাকা ফোনটার দিকে। লম্বা চওড়া স্ক্রীন ওয়ালা একটা বিশাল স্মার্ট ফোন। হয়তো সর্বসাকুল্যে সেটা কলির মুখের থেকেও বড়। যাইহোক সেই ফোনের স্ক্রীনলক্‌ খুলে উপর থেকে স্ক্রল ডাউন করে ফোনের নেটটা অন করলো। 

অন করতেই ‘টুং টুং’ করে গেয়ে উঠলো ফোনটা। কলি খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছে যে কারো মেসেজ এসেছে। ঝুকে পড়ে স্ক্রলডাউন করে দেখল,

                                      “ PARTHA send you a message”  

নামটা দেখেই কেমন যেন খুশি হয়ে গেলো কলির মনটা। এক চিলতে হাসি এল ঠোঁটের কোনে।  স্বভাবতই সন্দেহ হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এই প্রজন্মটা অনেক আলাদা,অনেক বেশি মুক্ত মনের। সম্পর্ক নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনেক আলাদা,নির্মলতায় সাজানো। সনাতনী আচার বিধি কে মেনে চললেও তার দোষত্রুটি কে মেনে নিতে পারেনা কলি। তাই রবি ঠাকুরের মতো নির্মলতা সে ভরেছে মনের ভেতরে।

    (ওয়াটস্যাপ্‌ খুলে...)
                            
                          “ আজি এ প্রভাতে রবির কর,কেমনে পশিল প্রানের পর
                           কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাত পাখির গান,
                      অরে,না জানি কেন রে এতদিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রান।
                                                           সুপ্রভাত।।“
সেটা দেখে কলিও প্রত্যুত্তর পাঠালো ...

      -  সুপ্রভাত।। আজ কি সুন্দর আবহাওয়া না?

(উত্তর)   -  হ্যাঁ রে, কি দারুন । পুরো ল্যাদ খাওয়ার মতো। (হাসির চিহ্ন)

এভাবেই কথায় কথায় এগিয়ে গেলো সময়। পড়ার টেবিল আর সেই ছবির মাঝে যেন এখনো ধ্বনিত হতে লাগলো বিস্ময়বোধক সেই প্রশ্ন। বই এর পাতা গুলো এখনো হাওয়ায় খেলা করছে। পাশের ঘরেও রেডিওটা বাজছে,তবে গানটা বদলে গেছে। কলি এখন অন্য দুনিয়ায় ।।  


কথায় কথায় বলাই হয়নি। পার্থ আসলে কলির কলেজের বন্ধু, আপাতত সেই বন্ধু শব্দে আর কোনও জোর দেওয়ার মতো প্রয়োজন পড়েনি। মানে কলিই এমনটা বলে আর কি। তবে এরা দুজনেই কিন্তু আজ কালকার সময়ের কলেজ পড়ুয়া দের থেকে বেশ অনেকটাই আলাদা। হয়তো আলাদা বলেই এই লক্ষ লক্ষ কালো মাথা,এক রাশ অজানা মুখের মাঝে ওরা খুঁজে পেয়েছে দুজন দুজন কে। ওরা দুজনেই ভীষণ গুণী মানে আরকি  ট্যালেন্টেড। পার্থ যেমন হাত পাকিয়েছে ক্যামেরার পিছনে,কলি তেমন ঘুঙুর পায়ে বেঁধে। পার্থ বেশ ভালো ফটোগ্রাফার, গলায় বেশ এক খানা দামি,ভারি ক্যামেরা ঝুলিয়ে ঘোরে, আর কেমন খচ্‌ খচ্‌ করে ছবি তোলে। বেশিরভাগ সময়েই তার মডেল কলি। অন্যদিকে কলির নাচের মুদ্রায় যেন পার্থরই আরাধনা, কত্থকে রাধা হয়ে নাচের অধ্যায়ে পার্থ যেন কৃষ্ণ রুপে কলির কল্পনা। কিছুটা হলেও কোথাও যেন একটা অন্তরঙ্গতা মুচকি হাসি দিয়ে যায়।

যদিও কলি আর পার্থ তাদের সম্পর্কের ভেতরে কোথাও প্রেম কে স্থান দেয় নি, তবুও খানিক অবচেতনেই যেন ভালোবাসা ভালবেসেছে এই অন্তরঙ্গতা কে,এই বন্ধুত্ব কে।


টুং টুং করে ফোনটা আবার ডেকে উঠলো। একটা নতুন মেসেজ ধুকলো।

 - কলি,তুই পড়ছিস পড়, আমি একটু গাড়িটা নিয়ে বেরোই। বহুদিন একটু দূরের দিকে যাওয়া            হয়নি। তাই আজ কি সুন্দর weather, ল্যাদ না খেয়ে গাড়িটা নিয়ে একটু ঘুরেই আসি বুঝলি।

(উত্তর) -আচ্ছা যা,ঘুরে আয়। সাবধানে যাবি,আর বেশি জোর গাড়ি চালাবি না।

-      ওকে, ম্যাডাম। জো আজ্ঞ্যা। (হাসি)

এই বলে কলি ফোনের নেটটা বন্ধ করে আবার পড়াশোনাতে মন দেওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো। হাওয়াও আস্তে আস্তে বইতে লাগলো, এক গোছা চুল কেমন অজান্তেই কলির মুখের ওপর এসে পড়লো। পড়ার টেবিল আর সেই রবীন্দ্রনাথের মাঝে আবার কিছুটা নীরবতা।


কলি পড়ছে…


এভাবেই কয়েকটা ঘণ্টা কেটে  গেছে,আনুমানিক দেড়-দুই। বেলা বেড়েছে, তাই কলিও বই বন্ধ করে স্নানে গেছে। ছুটির দিন,তাই সবাই মিলে এক সাথে খাওয়া হবে,বেশ একটা জমাটি ব্যাপার স্যাপার।  তাই বেশ বেলাই হয়ে যায়। তাই অন্যদিনের মতো এই দিনও দেরি হয়েছে। ওই বেলা আড়াইতে নাগাদ সমস্ত খাওয়া দাওয়া শেষ করে ওপরে এসে একটু গড়িয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে লাগলো কলি।

                              “ভালোবেসে সখী,নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো
                                                 তোমার মনেরও মন্দিরে…”


হঠাত করে ফোনটা বেজে উঠলো। হয়তো পার্থ ফোন করেছে এটা ভেবেই সে ফোনটা ধরতে গেলো। কিন্তু ধরার আগেই কেটে গেলো। ফোনের লক্‌ খুলে দেখে প্রায় গোটা ২০-৩০ মিসড্‌ কল। কয়েকটা পার্থর নাম্বার থেকে,কয়েকটা অন্য বন্ধুদের। কেন জানি না তার মনটা কিছুটা টুকরে গেলো।  মনটা কেমন যেন কু ডাকতে লাগলো। খানিক ভয়েই সে পার্থর নাম্বারটা ডায়াল করলো। বন্ধ। মনে ভয়টা যেন আরও জোরালো হয়ে  উঠলো। সে এবার পার্থর এক বন্ধু সায়নকে ফোন করলো।

-      হ্যা, হ্যালো, সায়ন?

-      হ্যা রে বল। কোথায় ছিলি এতক্ষণ? কত বার ফোন করেছি তোকে।

-      খেতে গেছিলাম রে। ক্যা…ক্যা…কেন ফোন করেছিলি?

রীতিমত ভয়ে কাঁপতে শুরু করেছে কলি। মনের ভেতরে একটা ছোট খাটো সুনামি বয়ে চলেছে। কিন্তু কোনও আবেগ প্রকাশ করতে পারছে না।

-      (অবাক হয়ে) তুই কিছু জানিস না?

-      কি…কি…কি জানব রে? খুলে বল না কি হয়েছে?

-      আরে,পার্থর গাড়িতে অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, কিভাবে হয়েছে, কেমন আছে,কতটা সিরিয়াস কিছুই জানি না। লোকাল লোক ওকে অ্যাম্বুলেন্সে করে একটা হসপিটালে ভর্তি করেছে,সেখান থেকে নাকি ওকে পিজি তে শিফট করে দিয়েছে। আমি, অয়ন, সবাই এখন ওই দিকেই যাচ্ছি। পারলে তুই ও চলে আয়।

পায়ের নিচে থেকে কেমন মাটিটা সরে গেলো কলির, যতই বলুক সে আর পার্থ বন্ধু,তবুও সেটা যে সুধুই বন্ধুত্ব না সেটা কেমন যেন পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে। হাত থেকে ফোনটা প্রায় পড়েই যাচ্ছিল সেই সময় নিজেকে সামলে নিয়ে কলি বলল

-      আচ্ছা।

আর কিছুই বলার মতো পরিস্থিতি তে নেই কলি। কি করবে কি না করবে সেটা বুঝতে না পেরে ধপ্‌ করে বিছানায় বসে পড়ল। সামনে সেই রবি ঠাকুর আর খানিক নিস্তব্ধতা, সাক্ষি হিসাবে রয়ে গেলো সুধু কয়েক ফোঁটা চোখের জল। ফিরে ফিরে আস্তে লাগলো সকালের সেই কথা গুলো। যদি ও পার্থকে আটকাত তাহলে হয়তো এই সময়টা আসতো না। বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে আস্তে আস্তে বাস্তবে ফিরে আস্তে লাগলো কলি। ধীরে ধীরে মাকে সবটা বলতে গিয়ে সে আর নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারল না।


চটজলদি জামা বদলে কেমন উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো কলি। পড়ার ঘরটাতে রেখে গেলো খুকুদির বিয়ের সেই সাজগোজের চিন্তা, দিদি কি সাজবে,কিভাবে সাজবে,জামাইবাবু কেমন হবে এসব চিন্তা যেন পড়ার ঘরের নিস্তব্ধতা কে আরও ঘনীভূত করেছে। কলি ওগুলোকে ওই ঘরের ভিতরে রেখেই বেরিয়ে গেছে ওই চৌকাঠ পেরিয়ে। উদ্বেগময় মুহূর্ত। একটা প্রশ্ন কেমন যেন ওই ঘরের নিস্তব্ধতা কে কুরে কুরে খাচ্ছে। আজ থেকে ১০ বছর পর এরম কোনও এক অঘ্রানেই কি এই বাড়িতে বাজবে বিয়ের সানাই? নাকি রাধাকৃষ্ণের মতো অপূর্ণই রয়ে যাবে আরেকটা প্রেমের কাহিনী?

উত্তর নেই, চলছে উৎকণ্ঠার বাদানুবাদ। উত্তরের প্রতীক্ষায় অপেক্ষা। সাক্ষী শুধু দেওয়ালে ঝোলানো রবি ঠাকুর আর একরাশ নিস্তব্ধতা।।





                                                 **********************
                                      **************************************
                                                 **********************

No comments:

Post a Comment

নশ্বর

আমি জানি নশ্বর আমি; একটা একটা দিন ফুরায় আর আমি গুনি; এই বুঝি বাজল সাইরেন; শরীরের কারখানায় যখন ধীরে ধীরে কর্মবিরতি আসতে থাকে হঠাৎ করেই একদিন ...