Monday, 4 February 2019

স্বপ্নের ফেরিওয়ালি



এই রাতের চাদর আমার ছবি আকার ক্যানভাস
পুড়তে পুড়তে দিন আর কিছু রঙ চটা স্মৃতি
সাজিয়েই বানিয়েছি এই সাদা কালো ক্যানভাস।
রঙ নেই বটে,তবে রঙ লাগাতেই নোংরা ঘাটছি
মনের ওই জঙ্গালের মাঝে;

কিছু নাম না জানা উড়ো স্মৃতির দল
এখনো ফেরারি হয়ে হানা দেয় মনের অন্দরমহলে,
নিঃশেষ আমি আজ,
খালি হাতে দাঁড়িয়েছি শূন্য আস্ফালনে,
কোষাগারও  শূন্য, মন্দা আজ স্বপ্নের বাজারে।
আমদানিতে পাঠিয়েছি সারে সারে জাহাজ;
এই ঘেরাটোপের মাঝেও বেচবি আমায় স্বপ্ন?
টাকা কড়ি ও কিছু জমিয়েছি আমি ,
খাটের তলার ওই মাটির ভাঁড়ে,
ভালো দাম ও দেবো, বেছবি আমায়?
হবি আমার স্বপ্নের ফেরিওয়ালি??   
একবার এসে ওই জানলাটার কাছে চেঁচিয়ে বলবি
“স্বপ্ন নেবে গো? তমাদের কারো স্বপ্ন চাই?”
আমি তখন ওই আড়ালখানা ঠেলে উকি মারব তোর ঝুড়িখানায়;
পছন্দ হলে পেছপা হব না আমি,
মাটির ভাঁড়ের জমানো কানাকড়ি,
গুনে গুনে মিটিয়ে দেব হিসাব,বাকি রাখব না কিছুই।
চেয়ে নেব ফেরার অঙ্গীকার,
আসবি তো আমার মোদের পাড়ায়,যখনি ডাকবো আমি?
সাথে নিয়ে আসিস আবার কিছু স্বপ্ন,
ভরে দিবি আবার দু চোখ ভরে;
টাকাকড়ি নিয়ে চিন্তা করিস নাকি? নিশ্চিন্তে থাক তবে তুই;
হিসাবমতো সব পেয়ে যাবি,
শুধু কথা দে আবার ঘুরে যাবি?
ঘুরে যাবি এই জানলাটার কাছে, ঘুরে যাবি ওই রাতের চাদর মুড়ে;
সারা শহর যখন ঘুমায় চুপিসাড়ে,আস্ফালনে শীতের দাপাদাপি
তখন আমি একাকি সঙ্গোপনে তোর স্বপ্নগুলো চোখে নিয়ে জাগি;
কিরে বেচবি আমায়? হবি আমার স্বপ্নের ফেরিওয়ালি??     


No comments:

Post a Comment

নশ্বর

আমি জানি নশ্বর আমি; একটা একটা দিন ফুরায় আর আমি গুনি; এই বুঝি বাজল সাইরেন; শরীরের কারখানায় যখন ধীরে ধীরে কর্মবিরতি আসতে থাকে হঠাৎ করেই একদিন ...