উঠতি
বয়সের নেশাই হলো হুজুকে মাতা। সে সরস্বতী
পুজোর ভাসান হোক কি কিম্ভুত কিমাকার গানের ভাইরাল হয়ে ওঠা, হুজুগেই চলছে দুনিয়া। বইমেলা
যাওয়া এরমই এক হুজুগ। কোনো
বাঙালি আড্ডায় একবার মুখ ফস্কে বলে ফেলুন আমি বইমেলা যেতে পছন্দ করি না, পরের বার সেই আড্ডায় আর ডাকবেই না আপনাকে এটা আমি হলফ করে বলতে
পারি। আর শুধু বইমেলা যাওয়াই না, ব্যাগ বোঝাই করে বই না কিনে আনলে সেই বইমেলার কোনো মাহাত্ম্যই
নেই। সে বই পড়ুন না পড়ুন, ব্যাগ যেন ভরা থাকে। বাঙালি হিসাবে একটু গর্বই বোধ হয় ওই ব্যাগটা দেখলে, মুখে চোখে কেতা কেতা ভাব, “দেখ কতো
বই কিনেছি…!!!” এই চক্করে রাঁধুনি রাখা বাড়ির কর্ত্রীর
হাতেও “বেনুদির স্পেশাল ৫০ রেসিপি” ঘুরতে দেখেছি। হুজুগটাই
হলো আসল কথা।
Friday, 26 January 2018
Wednesday, 24 January 2018
এখন কেমন আছো?
যে রাতে ছেড়ে
এসেছিলাম পরস্পরের হাত
এক নিঃশ্বাসে
দুজনেই ভেবেছিলাম বাঁচা গেছে,
গল্প লেখা থেমেছে সেদিন থেকেই
অনুভূতিগুলো ইতিহাস হয়ে আছে।
Wednesday, 17 January 2018
অভীপ্সা
আমি প্রেমে পড়তে চাই।
আমি, তোমার প্রেমে পড়তে চাই প্রতিদিন।
লাল নীল সংসারের মায়াপদ্যগুলো
আমি, তোমার প্রেমে পড়তে চাই প্রতিদিন।
লাল নীল সংসারের মায়াপদ্যগুলো
নুনের মত ঘিরে রেখেছে আমার ঘুমভাঙা চোখ।
মন্দ স্বপ্নের ঘোরে সেই কবে থেকে ভয় পেয়েছি
তুমিই কি হবে সে যে স্বপ্নে ভুলিয়েছি?
মন্দ স্বপ্নের ঘোরে সেই কবে থেকে ভয় পেয়েছি
তুমিই কি হবে সে যে স্বপ্নে ভুলিয়েছি?
Sunday, 7 January 2018
শীতল প্রেম
তোমার জন্যে এখনও যেটুকু আছে-
সেটুকু পেয়েছি, ঢেকেছি
নিজের কাছে।
কেননা প্রেমের আইনে নিষেধ জারি
বুকের মধ্যে তোমাকে রাখতে পারি?
Tuesday, 2 January 2018
কবি
কবি, তুমি তো মজার মানুষ বেশ,
হাতে নিয়ে কলম,খসখসিয়ে লিখে চলো
মনের যত কথা,
জমিয়ে রাখা,লুকিয়ে রাখা দুঃখ, যত ব্যথা;
নিজের ভেতর সাজিয়েছো এক নিজের মতো দেশ;
কবি, তুমি তো মজার মানুষ বেশ।
বুঝলে ভায়া,মন্দ তুমি বলোনি এতোটুকু
সাজিয়ে নিয়ে খেয়াতরি তোমার জন্যে
তোমার কাছে চলি,
বিড়বিড়িয়ে মনের কথা কলম দিয়ে বলি;
কলম আমার সদাই বলে,দেখে না সুখু-দুখু;
কথাখানা তুমি মন্দ বলোনি এতোটুকু।
কবি, তোমার দুঃখ হয়?
হয় বই কি, আলবাত হয়;
তখন তুমি করোটা কি?
লুকানো খাতা,পেনের কালি, জড়িয়ে করে কোলাকুলি,
মান অভিমান সবটাই যায় মরে,
পড়ে থাকে শুকনো লাশ, আর কিছু দীর্ঘশ্বাস;
সদ্যজাত কবিতাটা আজ ঝিমিয়ে থাকে ঘোরে;
দুঃখ আমার বড়ই প্রিয়, আমার মতো করে।
কবি, তোমার দুঃখ কেমন? চোখের জল ফেলে?
দুঃখ আছে অনেক রকম, রঙ বেরঙের নেশায়;
আমার দুঃখ চোখের জলে,
তোমার ভালোবাসায়;
আমার দুঃখ শ্রাবণ মাসে কাঠফাটা রোদ্দুর
তোমার দুঃখ মিথ্যে গানে ভালোবাসার সুর;
আমার নেশা আমায় হারায় প্রতিশ্রুতির কাছে,
দুঃখী তোমার স্বপ্নগুলো ভালোবাসায় বাঁচে।
কবি, তুমি আনন্দ পাও?
পাই বই কি? আলবাত পাই;
তখন তুমি করোটা কি?
সঙ্গী আবার খাতা কলম, সকল ব্যথায় বুলিয়ে মলম
আবার বাঁচায় নতুনের চাহিদায়
রবির যখন অস্তরাগ, রাতের নেশায় জমিয়ে ফাগ
জ্যোৎস্না তখন আবার ভালোবাসায়;
সুখটা আমার বড়ই প্রিয়,নতুন করে বাঁচায়।
কবি, তোমার সুখটা কেমন? খিলখিলিয়ে হাসায়?
সুখ ও আছে অনেক রকম, আলাদা সব সাজ
আমার সুখ বর্ষা রাতে ,
তোমার চিকন সাজ;
আনন্দ মোর ধানের খেতে সোনালি আলো মেখে
তোমার মজা পাহাড় ছুটে কখনো ডাল-লেকে;
আনন্দ আজ নাচায় আমায় নতুন নতুন বোলে
তুমি মজে ভালোবাসায়, প্রিয়জনের কোলে।
জানোতো কবি, তোমায় দেখে হিংসা হয় বড়
ওমা এটা কেমন কথা,কিসব যে বলো;
সত্যি বলছি,মনের কথা তোমায় তাই শুধোই
বন্ধ থাকা মনের জানলা কেমন করে খোলো?
টুক করে কেমন জমিয়ে বসো মনের করিডোরে,
কথার খেলায় ভাঙ্গা মন কেমন করে জোড়ো?
কথার খেলায় কথা মিশিয়ে বেচছি আমি আজি
সুর তাল আর ছন্দ আজ দল বাড়াতে রাজি,
আমিই রাজা, আমিই ফকির, আমিই সবার শেষ,
আমার ইশারায় চলছে আজ আমার মনের দেশ।
মানছি আজ করজোড়ে, লুটিয়ে মাথার কেশ,
কবি,তুমি ধন্য আজি, মানুষ তুমি বেশ।।
Subscribe to:
Posts (Atom)
নশ্বর
আমি জানি নশ্বর আমি; একটা একটা দিন ফুরায় আর আমি গুনি; এই বুঝি বাজল সাইরেন; শরীরের কারখানায় যখন ধীরে ধীরে কর্মবিরতি আসতে থাকে হঠাৎ করেই একদিন ...
-
তোমাকে চেনার ইচ্ছা আমার বহুদিনের, সুযোগ সময় কিছুই হয় না আর; কাছে চাওয়া আর পাওয়ার মাঝেও অনেক অনেক ফারাক, এক এক আলোকবর্ষ যেন; তোমায় কুয়াশার ...
-
আমি জানি নশ্বর আমি; একটা একটা দিন ফুরায় আর আমি গুনি; এই বুঝি বাজল সাইরেন; শরীরের কারখানায় যখন ধীরে ধীরে কর্মবিরতি আসতে থাকে হঠাৎ করেই একদিন ...