ইশ…!! এই ভাবে হাতটা কাটলো কি করে?
কতোবার বলেছি একা একা থাকো। একটা রান্নার মাসি রেখে দিতেই তো পারো। কত আর খরচা হবে। না রাখলেও একটু সাবধানে তো কাটাকাটি করবে। ছুরির কাটা, সহজে যাওয়ার নাকি; বোরোলিন মাখিয়ে দেওয়ার হাতটাও এখন নেই। নিজেও তো কিছু লাগিয়ে নিতে পারতে নাকি। না থাক, বাদ দাও, এই দাগটা থাকুক হাতে। আলাদা
করতে পারবো এক গাদা হাতের মধ্যে।
তোমার পুরোনো ফ্ল্যাটটায়
ওই দক্ষিন খোলা বারান্দাটায় একটা গাছ ছিলো।
কতো যে অযত্নে বড় হয়েছে তার
কোনও হিসাবই নেই। শুধু
বর্ষার জল পেয়ে পেয়ে ওরম বেড়েছিলো। বারান্দায়
তো জল আসে না, নয়? বাথরুমে তো অতো জল পড়ে যায় সারারাত ধরে, একটু ধরে রেখে তো আদর করার মতো করে দিতে পারতে গাছটায়, আমার দিকে ওরম হাঁ করে চেয়ে না থেকে । তাহলে বেঁচে যেত বেচারা। না থাক, বাদ দাও, ওটা মরেই
যাক; ফালতু স্মৃতির বোঝা বয়ে বেড়িয়ে লাভটাই
বা কি…!!
একটা বিড়াল পুষেছিলে না তুমি? কেমন ন্যাওটা হয়ে
ঘুরতো এঘর ওঘর।
যেদিন মরলো সেদিন তো কাকে দিয়ে একটা ফেলিয়েছিলে,
নিজে ফেলতে অবধি যাওনি। সেদিন রাতেও তুমি কেমন নিষ্পাপের মতো ঘুমিয়েছিলে। কোনও
দুঃখ ছিলো না তোমার মনে। নিজের মধ্যেও তো একটু যুদ্ধ করতে পারতে। ওহ, তুমি তো আবার
গান্ধীজীর পিছনেই ছুটে ছুটে হাঁফিয়ে গেছো। তুমি যে যুদ্ধবাদী নও সেটা ভুলেই
গেছিলাম।
পাঞ্জাবী বা শার্টের প্রথম বোতামটা আটকানোর
স্বভাবটা এখনো বদলাতে পারলে না।
কক্ষনো বুক দেখেনি কেউ। শুধু আমি জানি ওই আবেগের
নীল রাতগুলোয় তোমার
ওই বুকের পশম কি করে এতোটা অনুভুতিহীন হতে পারে। ওর ওপর আমার
অধিকারটা আমি কোনও ভাবে ছেড়ে দেবো না। অনেক কবিতা লিখেছিলাম তোমার জন্যে, একটাও পড়োনি
কোনোদিন। পাড়লে পারতে...
না থাক, ভালোই করেছো। এই বেশ ভালো আছি।
Khub sundar :)
ReplyDeleteVison sundor
ReplyDeleteprotyek ta word jno feel kora gelo..