জানলা জুড়ে কেমন যেন বিষন্নতা,
আমি আর একটা বিশাল তুমি রয়েছ সেখানে;
পাশাপাশি বসেছি, হাত ধরেছি
ভেজা চুলের থেকে জল গড়াচ্ছে তখনো
জট পড়েছে বেশ; আমার আঙুল চলছে না আর।
যেন মোহনায় এসে পাথরে পাথরে বিঁধছে
গতিময়তা।
থামতেও তো জানতে হয় বলো।
শিশিরের সময় হয়ে গেছে,
ক্লান্ত বাতাস আরো ভারি হয়ে নেমে এসেছে মাটির কাছাকাছি,
ভেজা ঘাসের বুকে আলপনা হয়ে রয়েছে
ঘাস গুলো পায়ের নীচে এলে আমার ভালো লাগে না
শত নীলপরির নিদ্রাসুখের ব্যাঘাত হবে ভেবেই;
নীল শাড়িটার আঁচলটায় যেন স্বপ্ন বোনা,
চোখটা থেমেছে আমার;
থামতে হয়ত শিখছি এবার।
বালির ঘড়িটা থেমেছে কখন জানি না;
বেরোনোর সময় হয়ত উল্টাতে ভুলে গেছ
ভেবেছিলাম আবার দেখা হবে বুঝি
কিন্তু এই জানলাটাই এখন হিসাব রেখেছে তোমার আমার;
এক পেয়ালা চা, আধ খাওয়া বিস্কুট, আরো অনেক অনেক কিছুর হিসাব তো চাওয়া হলো না আমার;
অনেক কথা ফুরানোর আগেই একটা শূন্যতা দিয়ে গেলে।
থেমে যেতেই শিখে নিলাম আমি,
থামলে হয়ত অনেক যুদ্ধ জেতা যায়।
No comments:
Post a Comment