Thursday, 9 March 2017

লিখছি যখন

লিখছি  যখন, আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি এলো
সঙ্গে এলো আঁধার ভরা কালো;
কেমন করে জানি কেটে গেলো সব যোগ,
উথাল পাথাল নদী, আর  চিন্তার সাগরে  বাঁধলো গোলযোগ ;
আমি থমকে গেলাম,
শরীর নিয়ে ক্লান্ত হয়ে আটকে গেলাম ওই একলা বন্দরে,
দু হাত ভরে প্রানপনে আটকে দিয়ে নোঙর,
ভাসতে লাগলাম ওই ঢেউয়ের অন্দরে;
মুখে রেখে চিৎকার, উদ্বাহু আর্তনাদ  যদি কেউ বাঁচায় ;
নিজের নির্বুদ্ধিতায় দিশেহারা হয়ে
হারিয়ে এসেছি নাচঘরের সেই ঘুঙুর;
এখন কে শোনাবে আমায়
মাঝরাতের সেই গল্পবলা গানের ধুন?
খানিক অকপট,খানিক ক্লান্তি খানিকটা নিদারুন।।

এখনও লিখছি আমি, বৃষ্টিও থামেনি কথামতো,
পার করার পথ ভুলে, নৌকাটা আজ ঘুরছে ওই মাঝদরিয়ার স্রোতে,
খানিকটা ক্যাবলা, খানিকটা ভ্রান্ত,
অনেকটা এক পেশে ভবিতব্যের হাতে;
মাঝি বুঝি তুই ছিলি? তাই তো এতো টলমল করে তার পদচারন,
অনেকটা সেই অমাবস্যায় চন্দ্রগ্রহণ;
ভালো মন্দের বিচার করিনি তখন
ঝাঁপ দিয়েছিলাম তোকে একলা করে মাঝে,
আবার আমি ফিরে এসেছিলাম ঘুরে,
সাঁতরে হাজার ঢেউ, নৌকাকে আজ সরিয়ে রেখে দূরে
আমি সেদিন গিয়েছিলাম তোকে কাছে রাখার তরে;
তখন নদীর মাঝে আঁধার হয়ে গেছে,
পাড়ে পাড়ে নেমে এসেছে সাঁঝ,
বৃষ্টিটাও ধরে গিয়েছে অনেক;
ওই আকাশ ভরা নিঃসঙ্গের মাঝে আমি লিখছি তখন তোর মুখের ছবি।।

1 comment:

নশ্বর

আমি জানি নশ্বর আমি; একটা একটা দিন ফুরায় আর আমি গুনি; এই বুঝি বাজল সাইরেন; শরীরের কারখানায় যখন ধীরে ধীরে কর্মবিরতি আসতে থাকে হঠাৎ করেই একদিন ...