যখন তুমি চুরি
গিয়েছো মাঝরাতের আঁধারে;
সারা শহর ঘুমায়
চুপিসাড়ে,
স্বপ্ন গুলো উবে
গিয়ে তখন জমছে সবে
ওই ভেপার
ল্যাম্পের আড়ালে;
আমি চেঁচিয়ে
ছিলাম,আধো ঘুম ভাঙ্গা উৎকণ্ঠায়
যেন শিকল ছেঁড়ার
যাতনায়;
কেউ আসেনি তখন,
শুধু পাশ ঘুরেছিলো।
ওরা তোমায় নিয়ে
গেলো টেনে, হিড়হিড়িয়ে
কাপড় জামা এদিক
ওদিক,কোথাও গেছে ছিঁড়ে,
শীতের রাতের
শিশির গুলো তখন
আসর জমিয়েছে
তোমার গায়ের কাছে;
আমি চিৎকার করে
ডেকেছিলাম স্বপ্নচুরির উৎকণ্ঠায়
পাথরচাপা
কান্নাতে ভিজে;
কেউ ছিলো না
পাশে, শুধু চাদর টেনেছিলো।
তুমি তখন অনেক খানি দূরে, অন্ধকারের শেষে;
কুয়াশা তখন রাহুর মতো গিলছে তোমার মুখখানা,
চোখের জলের এলোমেলো চলাচলে
তোমার মুখখানা হয়ে গেছে আবছা;
আমি হাত বাড়িয়েছিলাম, তোমায় হারানোর ভয়ে
হিসাব ছাড়া অনুভূতির বশে;
কেউ শোনেনি তখন, শুধু কটা আলো জ্বলেছিলো।
তখন তুমি চুরি গিয়েছো ওই জল্লাদগুলোর কাছে;
থম্থমে হয়ে চিৎকার গুলো ঠাণ্ডা হাওয়ায় ভাসে;
লুটিয়ে আমি তোমার পথের পরে
লিখে চলেছি আমার শেষ চিঠি তোমার তরে,
আমি তখন হাত বাড়াইনি আর তোমায় আগলাবার চেষ্টায়
ভেঙ্গে পড়া স্বপ্ন গুলো কুড়িয়েছিলাম সন্তর্পনে;
কেউ ছিলো না তখন, ভোর হতেও বেশ খানিক বাকি।
একফালি চাঁদটাও আড়ি পেতে শুনেছিলো সেই পাঁজরভাঙ্গা চিৎকার
সাড়া দেয়নি তাতে,শুধু লম্বা হাই তুলেছিলো।
No comments:
Post a Comment