প্রিয়,
তোমার আমার দেখা হওয়ার তো দরকার ছিল না কিছু,
এতগুলো বছর, এতগুলো ক্ষন তো আমি একাই কাটিয়েছিলাম
তোমার উপস্থিতি ছাড়া;
ভাবনা আসত, কিন্তু উবে যেত কর্পূরের মতো,
আমার মনটা শান্ত করে দিতে নির্লিপ্ত এক সুবাসে;
শান্তি পেতাম, আর মানিয়ে নিতাম এই বেশ ভালো আছির দেশে।
একটা দমকা বাতাসের মতো এলে তুমি,
অপ্রতিক্ষিত একটা পলকের মধ্যে দিয়ে;
সুখী গৃহকোণ এ সুখ এলো, তবে এলোমেলো করে দিল অনেক;
নিজেকে ভরসা করেছিলাম যে সামলে নেব এবার
অন্য বারের মতোই; নির্ভীক আর শক্ত চোয়াল নিয়ে;
আমি পারিনি গুছিয়ে নিতে আর,
সাজানো ঘরের কোন আজ বাজাচ্ছে ধ্বংসস্তুপের করুণ রিংটোন।
এলে যখন কাছে, তবে চলে গেলে কেন?
কাছে আসা কি তবে শুধু যাওয়ার দ্যোতকই ছিল?
তুমি জানো প্রিয়, অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম তোমায় নিয়ে
ভেবেছিলাম যে শহরে কেউ জানে না তোমায় আমায়
কেউ জানে না একলা বিকেল, মন চুরোনো পাখির ডাক, সেখানেই চলে যাবো;
ভেবেছিলাম একটা বিকেল, পড়ন্ত সূর্য আর একান্ত আপন সময় গুলো আগলে রাখি;
ঠিক যেভাবে লাইটহাউসটা পাহারা দেয় শেষ পাড়টুকু।
তুমি সময়টুকুই দিলে না আর!
প্রিয়,
তোমার নাম টুকু আজ নিতে পারি না আমি;
ওই নামে শ্রাবণ ভেজা শহর হাসে না আর, বুকে আমার বজ্রপাত নেমে আসে,
ভীষণ একটা বৃষ্টির পরে আমার এই স্বপ্ন শহর যেন তাকিয়ে থাকে তোমার আমার চোখে;
অনিমিখ এক সম্ভাষণ আর হাজার হাজার বরফ জমা হিমেল এক স্রোত।
সেই স্রোতেই ডুবেছি আমি রোজ, পালিয়ে যাওয়ার আস্তানার খোঁজে।
প্রিয়,
অনেকখানি ভালোবেসেছিলাম তোমায়
স্বপ্নের শিশমহলে রাজা হওয়ার লোভটুকু চোখে বেঁধে,
মোহের নিরিখে খেয়াল ছিল না শুধু
স্বপ্ন ভাঙার খবর কেউ নেয় না আর।
শূন্য আজ রাজার সিংহাসন, চিড় ধরেছে শিশমহলের গায়ে;
যাওয়ার আগে একটু ক্ষনের তরে মাখবে নাকি ভালোবাসার আতর তোমার গায়ে।
তবে খুশি থাকো এটুকুই চাই,
ক্ষতি তোমার চাইনা তো কখনো
সময় হলে ফিরে এসে বলো
কেন আমায় ভালোবাসলে না কখনো?
No comments:
Post a Comment