Thursday, 21 September 2017

চিরকুট

এমন কি আর পারেনা হতে,তুমি আমি একই সাথে
সঙ্গী হয়েছি হঠাত কোনও মধ্যরাতের অকস্মাতে;
আটকে গেছি কামরা জুড়ে, অনেকখানি ইতস্তত
বাইরে দিয়ে আকাশটুকু জমিয়ে বসে আসর সেজে।

সরছে না তো মুখের কথা, দেখবো শুধু মুখের পানে,
শান্ত হাওয়া ঘুরবে শুধু আমার থেকে তোমার কানে
সাহস করে শুধবো খালি, আছো কেমন? কুশল তো সব?
কি নামেতে নাম্বারটা সেভ রয়েছে তোমার ফোনে?

তুমি হয়তো থাকবে চেয়ে জানলা দিয়ে অনেক দূরে
এড়িয়ে যাবে প্রশ্নগুলো না শোনার এক ভঙ্গি করে,
বার কয়েক শুধাবো আমি,ভুলে গিয়ে সব হিসাব নিকাশ
শেষমেশ তুমি পড়বে ধরা,কথার রেশের বুনন ডোরে।

থাকবে না আর বাধা কোনো, কথার পরে কথা ভাসে,
কামরা ভরা কলতানে স্মৃতিরা সব ভিড়বে এসে;
শুধোবো আমি, “এখনো কি নামতাগুলো আওড়াও ঠিক নিয়ম করে?”
“পৌনে তিনের নামতাটাকি আজও রাখো ঠোঁটের পাশে?”  

হঠাত করে জিগাবো আমি,এতো কথার ফোকর গলে,
“বিনি সুতোয় মাঞ্জা দিতে আসবে নাকি আমার ছাদে?”
কথা গুলো তুমি সরিয়ে নেবে, ফেলে আসা অস্তরাগে
থমকে যাবে সকল কথা, হারিয়ে গিয়ে প্রেমের ভয়ে।

সফর শেষের ইস্টিশানে মিলবো হয়তো একটিবারে,
আকাশ তখন মুখ ফিরিয়ে ভরবে আবার কালো মেঘে;
যাওয়ার আগে একটা কথা বলব খানিক অতর্কিতে
“এভাবে কি কাঁদো আজো একলা রাতের অন্ধকারে?”

একলা হবে কামরাখানা, আমার কাছে পড়বে ফাঁকি
ইস্তাহারে জমাই আদর, জানলা চেনায় ছোঁওয়ার ঝুঁকি।।

Saturday, 2 September 2017

পালিয়ে যাওয়ার মাশুল

হঠাত করেই পালিয়ে যাবো দেখিস,
অভিমানী কোনও ভোরের আলো ধরে;
অন্য কোনো সন্ধ্যেবেলার ভুলে
ফিরবো আবার বুকপকেট ভরে।

ততদিন না হয় আড়ার আড়াল থাকি,
রাতের বেলায় সঙ্গী মাথার বালিশ;
আবার উটকো কোনো বসন্তের মাঝে
আলগা ফুঁ-এ উড়িয়ে দিতে পারিস।

কথা কাটাকাটি চলতে থাকুক নাহয়,
সেই ছুতোতে মনটা কিছু বলে;
যে বুক থেকে পালিয়ে যাবার ঘটা,
তার ভেতরেই আটকে পড়া চলে।

ঝগড়া চলবে নিয়ম মতো মেনে
একটা বেলা ভাত ছোঁবো না রাগে;
মন্দ কথায় একটু অসুখ হোক,
সারতে গেলে স্পর্শ পেতে লাগে।

তবুও থাকুক,অসুখ বাড়ুক কিছু
অভিমানের ছাদ বনেদিই হয়;
এই বিকালে ভুল করে যারা
রাত বাড়লেই অমনি পরাজয়।

বর্ষা নামে, সঙ্গে বরফকুচি,
শরীর মাতে শিরশিরানি ঘামে;
লুকোয় ভেবে চোখ বুজে নেয় গা
আর দুটো চোখ তাকায় অন্য থামে।

এক দৌড়ে পালিয়ে যাবো কোথায়?
তখন আদর,তখন ভীষণ ভয়;
রাতের বেলায় অসুখ সারলে পরে
পালিয়ে যাওয়ার শাস্তি পেতে হয়।।

নশ্বর

আমি জানি নশ্বর আমি; একটা একটা দিন ফুরায় আর আমি গুনি; এই বুঝি বাজল সাইরেন; শরীরের কারখানায় যখন ধীরে ধীরে কর্মবিরতি আসতে থাকে হঠাৎ করেই একদিন ...