তোর মনে পড়ে
সেই যেদিন আমরা প্রথম একসাথে হেঁটেছিলাম,
একলা পড়ে থাকা ওই গাংপাড়টা ধরে;
ঘাটে নামার সিঁড়ির পাসে জমে থাকা ওই স্তূপাকার পচা ফুলগুলো
ড্যাবড্যাব করে সন্দেহের চোখে তাকিয়েছিল আমাদের দিকে,
আমাদের বসতে দেয়নি ওই ঘাটে;
আমি তখন একটু হেসেছিলাম,পাত্তা দিইনি ওই চোখরাঙ্গানিটাকে,
শুধু আলতো জোরে হাতটাকে কাছে টেনে নিয়েছিলাম যাতে ফস্কে না যায়;
তুই সেদিন বুঝেছিলি,
তবুও না বোঝার মুখোসে মুখটাকে কেন জানিনা ঢেকেছিলি,
একবারও খেয়াল করিসনি তোর ওই চোখদুটো আমি চিনি।
হয়তো বুঝে বা না বুঝেই আমরা খুঁজেছি উত্তাপ,
আমিও হাতটা ছাড়িনি আর তুই ও ছাড়াতে চাস্নি;
সেদিন আমরা বেরিয়েছিলাম একটু ভিজব বলে,
কিন্তু সেদিন বৃষ্টি আসেনি…
আসেনি সেই বিশ্বাস যা আমায় নগ্ন করবে তোর সামনে , বলাবে সত্যি কথা।
সেদিন যখন হেঁটে গিয়ে ওই ঝালমুড়িওয়ালার কাছে দাঁড়ালাম
ঠোঙ্গার ওই ফাঁকটা দিয়েও আমি পড়েছিলাম তোর চোখ দুটো
ধরা পড়েগেছিলি সেদিন আমার কাছে;
আমিও কেমন বুঝেও সেদিন বলতে পারিনি তোকে,
হয়তো বৃষ্টির অপেক্ষায় কাটিয়েছিলাম প্রহর;
কিন্তু সেদিন বৃষ্টি আসেনি…
আজও যখন বাড়ি ফেরার পথে একা একা শহরের রাস্তায় ভিজি
তখন আমি ফিরে যাই ওই গাংপাড়ের কাছে
আর মনে হয় চিৎকার করে বলি আমি তোকেই ভালবাসি।
সেই পচা ফুলগুলো আর চোখ রাঙ্গানি দেয়না;
অপেক্ষার অন্ত নেই আমার;
এখনও মনে হয় আমি তো সেই তোকেই চেয়েছিলাম যে বলবে,
“ ধুর পাগলা, আমি আবার অন্য কারও নাকি? আমি তো তোরই,”,
সেই তোকেই চেয়েছিলাম
যে আমার মাথার পিছে আলতো চাঁটি মেরে একটা চুমু খাবে,
যে আমায় বলবে,” ছেড়ে যাস না প্লিস,আমি তোকেই ভালবাসি।“
আমি কিন্তু এখনও সেই তোকেই খুঁজি,
বৃষ্টি ভেজা শহরের অচেনা মোড়ে,পথে ;
আর বারে বারে শুধু ছুটে যাই সেই গাংপাড়ের ঘাটে,
হা হুতাশ করিনা আমি,শুধু একটাই আফসোস রয়ে যায়
“ইসস্ , যদি সেদিন বৃষ্টি আসতো...”