Sunday, 18 September 2022

ঊষশী




ঊষার আকাশ, নিশীথ সূর্য 
বা মধ্যগগণের রুপোলি চাঁদের মতো দেখা দাও তুমি; 
অপার এক ঐশ্বর্যবেশ আসো তুমি বার বার; 
কুহকের মতো আমি ডুবে যাই তাতে,
একটা মাস্তুল ভাঙা জাহাজ খাবি খাচ্ছে
আমি সাঁতরে ফিরতে চাই পাড়ে বার বার
কিন্তু উপায় নেই; 
নির্লিপ্ত এক মায়াবী নেশা আমায় বার বার বিবশ করে,
আমি ভাসছি এক অনিশ্চয়তার মাঝে। 

এক লহমায় যখন পাড়ে এসে পড়ি
বুঝতে পারি এখনো অনেকটা একা আমি;
উত্তপ্ত মরুভূমি যেমন লালন করে চলে একটা মরীচিকা 
সেভাবেই তপ্ত হৃদয় থেকে পাকানো ধোঁয়ার জালে 
তুমি জড়িয়ে আসো বার বার; 
ছুঁতে চাই তোমায়, তুমি নেশার মতো 
কিন্তু তুমি তো আমার নও;
তুমি কেমন এক মায়াবী ইন্দ্রজাল
শুধু কাছে টেনে নাও ওই মায়াবী দন্ডের নেশায়। 

একটা হঠাৎ আঁতকে ওঠা হটকারিতায় 
আমার চোখ খুলে যায়, নেশার পর্দা সরিয়ে যে ঐশ্বর্য রূপ আমার স্বপ্নে রঙ ভরেছে
সেই রূপ নিয়ে কাছে আছো তুমি; 
অঝোর বৃষ্টি, অন্ধকারময় ঝোড়ো হাওয়া আর এক জমতে থাকা শীতের ভোর
এতটা সুন্দর যে হতে পারে ভাবিনি আগে;
তুমি আছো সেই মায়া নিয়ে, যার যাদু আমার স্বপ্নে ঘিরেছে আগে পিছে। 

ভাঙছে এই নিশ্চুপ ধরনীর নির্মোক
তোমার চকিত স্পর্শ যেন অতন্দ্র স্বপ্নলোক…





নশ্বর

আমি জানি নশ্বর আমি; একটা একটা দিন ফুরায় আর আমি গুনি; এই বুঝি বাজল সাইরেন; শরীরের কারখানায় যখন ধীরে ধীরে কর্মবিরতি আসতে থাকে হঠাৎ করেই একদিন ...