আমি জানি নশ্বর আমি;
একটা একটা দিন ফুরায় আর আমি গুনি;
এই বুঝি বাজল সাইরেন;
শরীরের কারখানায় যখন ধীরে ধীরে কর্মবিরতি আসতে থাকে
হঠাৎ করেই একদিন তালা ঝুলে যায়;
শ্রমিকদের গলার আওয়াজ নেই, নেই যন্ত্রের ডাক;
শুধুই নীরব সাইরেন, কেউ টের পায় না;
শুষে নেয় দেওয়াল গুলো।
এই নীরবতার সময়টাকে বড় ভয় করে আমার,
শুনেছিলাম ভালোবেসে নাকি মানুষ অমর হয়,
রোমিও, জুলিয়েট, লায়লা মজনু, হির রাণঝা, আরো অনেকে;
কিন্তু এত ভালোবাসা কি সম্ভব বলো?
একটা জীবনে কতটা ভালোবাসলে তবে অমর হওয়া যায়?
কেউ কেউ বলেছিল ভালোবাসার মাপ নেই,
কেউ কেউ বলে ভালোবাসাতেই ভালোবাসা,
সেভাবেও তো ভেবেছি, তল পাইনি আর;
ভালোবেসে কী অমর হওয়া আদৌ যায়?
আমিও প্রেম করেছি, ভালোবেসেছি বারবার,
শেষ নাম দেবো ভেবেই বার বার ভালোবেসেছি;
ভালোবাসা আমায় ফিরিয়েছে, ডুবিয়েছে, ভাসিয়েছে বার বার;
তবুও পারিনি অমর করেনি;
এক চোখ থেকে অন্য চোখের অন্ধগলিতে হারিয়ে
আমি পথ ভুলেছি,
নিরন্তর এক টানাপোড়েনের মাঝে আমি হেরেছি শুধু।
কতটা ভালোবাসলে তবে অবিনশ্বর হওয়া যায়?
এর থেকে যদি কবি হতাম
তোমায় নিয়ে কবিতা লিখতাম কিছু;
ভালো হোক বা মন্দ, ওই ফাঁকা কারখানায় সব শোরগোল থেমে গেলে
ধুলো পড়া কাগজ গুলোয় তবু থেকে যেত ইতিহাস সাথে নিয়ে;
যদি কবি হতে পারতাম, তোমায় নিয়ে কবিতা লিখে যেতাম৷
তোমায় আমার করে পেলে হয়ত নশ্বর হয়েও পূর্ণতা পেতাম।