২৫শে মে,২০১৪।
ভারতীয় সময় রাত প্রায় দুটো কি সওয়া দুটো। টিমটিম করে জ্বলতে থাকা টিভির আলোতে উদ্ভাসিত ঘরটা
থেকে হঠাত বিকট আওয়াজ। গোওওওওওওওওওওওওললললললললল...............
প্রায় চার বছর আগের কথা, সেবার বিশ্বকাপের বছর,২০১৪। তাই ফুটবল
মরশুম একটু আগে আগেই শেষ হওয়ার কথা। জুন থেকেই চলবে একমাস ব্যাপি ফুটবল জ্বর আর আগে
আর পরের এক মাস ব্যাপি সেই দেশগুলো নিয়ে চর্চা। ফুটবল নিয়ে কলকাতার অবস্থান নতুন করে
বলে বোঝাতে হয় না। দেওয়াল লিখনের সঙ্গে সঙ্গে এই একমাস যাবত আকাশ পর্যন্ত দেখা যায়
না লম্বা লম্বা সামিয়ানার মত ফ্ল্যাগের আড়ালে। বড় বাজারের ত্রিপল পট্টির এই কদিন বেশ
ভালোই ব্যবসা হয়। মানে এমনি বছরের
তুলনায় বেশ ভালোই আর কি। কোথাও সবুজ হলুদ, কোথাও নীল সাদা(যদিও সেটা এখন আর আলাদা করে
বোঝা যায় না), কোথাও আবার হলুদ, লাল আর কালো; মাঝে মাঝে কিছু সবুজ মেরুনও চোখে পড়ে।
এই হলো কলকাতার রঙ। ফুটবল, রসগোল্লা, মিস্টি দই, তেলেভাজা মুড়ি, পলিটিক্স আর গান, এই
নিয়েই কলকাতা আছে নিজের মতো, সবার থেকে আলাদা হয়ে। এখানে মোহনবাগান পাবেন, ইস্টবেঙ্গল
পাবেন, মহামেডান পাবেন। পাবেন ম্যানচেস্টার, লিভারপুল, আর্সেনাল, বার্সেলোনা, রিয়েল
মাদ্রিদ আরো কত কি। যদিও হাল আমলের সাথে পা মেলাতে গিয়ে, “আমি কলকাতার ফুটবল পছন্দ
করি না। আমার পছন্দ অমুক দেশের তমুক টিম” এসব বলার চল বেড়েছে, তবুও কলকাতা থেকে সেই
খাস ময়দানি ফুটবলের আমেজটা এখনো রয়ে গেছে। শুধু জার্সির রংটা বদলেছে।